- জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯
- মোঃ জহিরুল হক
- মাশরুম উন্নয়ন কর্মকর্তা
- হর্টিকালচার উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর , খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫
‘যান্ত্রিকীকরণই গড়বে আধুনিক ও লাভজনক কৃষি’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে ২৫ এপ্রিল ২০১৯ খ্রি শুরু হয়েছে “জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯” তিনদিনব্যাপী এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে যান্ত্রিকীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যান্ত্রিকীরণের প্রসার ঘটাতে সরকার উন্নয়ন সহয়তা বা ভতুর্কি দিচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভবিষ্যতে ভতুর্কি আরও বাড়ানো হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে এখনও কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৭ থেকে ১৮ ভাগ। বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষির যে অর্জন তা কোন যাদুর কাঠিতে অর্জন হয়নি। এখানে বর্তমান সরকারে অনেক অবদান রয়েছে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামে তিন দিনের ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯’ উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মঞ্জুরুল আলম। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন পরিকল্পনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর, এসিআই মটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী ও দেশি কৃষি যন্ত্রের উদ্ভাবক কৃষক মো. আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. নাজিম উদ্দিন।
মেলায় সরকারি ৮ টি ও বেসরকারি ২১ টি প্রতিষ্ঠানের ২৭ টি স্টল ৩ টি প্যাভেলিয়ন রয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে ২৭ এপ্রিল বিকাল ৩টা৩০মিনিটে।এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উপকরন) ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
উত্তর সমূহ
যান্ত্রিকীকরণই গড়বে আধুনিক ও লাভজনক কৃষি’
আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণের জন্য যান্ত্রিকীকরনের বিকল্প নাই