ডিএপি
সারের কেজি ২৫ থেকে ১৬ টাকায় নামলো
কৃষকদের স্বার্থে ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ডিএপি
(ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে
সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর
রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার
হ্রাস ও ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে দেওয়া প্রস্তাবটি
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন।
“ডিএপি সারের দাম কেজিপ্রতি ৯ টাকা কমিয়ে ডিলার পর্যায়ে
১৪ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হলো। এজন্য প্রতি কেজি সারে ২৪ টাকা ধরে
বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।”
এখন দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন
ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের
ব্যবহার আরো বাড়বে; কৃষদের উৎপাদন
খরচও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।
“ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন
(অ্যামোনিয়া ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট রয়েছে। এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া
এবং টিএসপি সারের সুফল পাওয়া যায়।”
এ সার প্রয়োগে গাছ শক্তিশালী হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ে ও ফসল পুষ্ট হয় জানিয়ে এই কৃষিবিদ বলেন, ফলে কীটনাশকের ব্যবহার ও আমদানি কমে যাবে।
প্রতিবছর সারের জন্য সরকারকে
সর্বমোট ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় বলে তিনি জানান।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ
অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালের আগে ডিএপি সারের দাম
ছিল কেজিতে ৯০ টাকা, যা ধাপে ধাপে কমিয়ে ২০১৪ সালে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
উত্তর সমূহ